সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আশিক চৌধুরী। নিয়োগের পরপরই তার গতিশীল নেতৃত্ব, স্পষ্টভাষী বক্তব্য ও প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগ পরিকল্পনা দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে তাকে। সরকারি কর্মকর্তা হিসেবেও তার অতীত রেকর্ড ছিল ব্যতিক্রমী। কিন্তু রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এখন একটাই প্রশ্ন—কে এই আশিক চৌধুরী?
আশিক চৌধুরীর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে। পরবর্তীতে তিনি পলিসি স্টাডিজে উচ্চতর ডিগ্রি নেন যুক্তরাজ্য থেকে। কর্মজীবনের শুরুতে জনপ্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে তিনি পরিকল্পনা কমিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এবং একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ঝুলিতে রয়েছে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবি'র সাথে যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা।
বিডা চেয়ারম্যান হিসেবে তার প্রথম পদক্ষেপ ছিল একটি "ডিজিটাল ইনভেস্টমেন্ট পোর্টাল" চালু করা, যেখানে বিনিয়োগকারীরা ঘরে বসেই লাইসেন্স, অনুমোদন ও পরামর্শ নিতে পারছেন। এর ফলে বিনিয়োগে জটিলতা কমে গেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ গড়ার পাশাপাশি তিনি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণকেও প্রাধান্য দিচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলের কৃষি ও পরিবেশ-সহনশীল শিল্পের উন্নয়নে তার উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে।আশিক চৌধুরী এখন শুধু একজন আমলা নন, বরং এক নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন—যিনি দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও ভবিষ্যতমুখী চিন্তার মাধ্যমে বদলে দিতে চান দেশের বিনিয়োগ খাতকে।